যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সাল ক্রেডিট থেকে ৫৩.৯ মিলিয়ন পাউন্ড জালিয়াতি!

শাকির হোসাইন

বেনিফিট জালিয়াতির দায়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৫ সদস্যকে দোষী সাব্যস্থ করেছে যুক্তরাজ্যের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস। এই চক্রটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সাল ক্রেডিট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫৩.৯ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নেয়। তবে লন্ডনের উড গ্রিন ক্রাউন কোর্টে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড চুরির ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বুলগেরিয়ান এই জালিয়াত চক্রটি।

বিবিসি জানিয়েছে, এটি যুক্তরাজ্যের অ‌ন্যতম বড় একটি বেনেফিট জালিয়াতির ঘটনা। তিনজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ নিয়ে গড়ে ওঠা ওই চক্রটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে গত সাড়ে চার বছরে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট হতে ওই জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে। অর্থ পাচারের অপরাধও স্বীকার করেছে তারা।

মানুষের ভূয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের জন্য ভুয়া ক্লেইম করত বলে জানা যায়। এইসব ক্লেইম করতে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভাড়াটে চুক্তিপত্র, পে-স্লিপ সহ নানা ধরনের কাগজ তৈরি করতো।

কোর্টের প্রসিকিউটর বেন রেড বলেন, মামলাটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের আদালতে এখন পর্যন্ত আনা সবচেয়ে বড় বেনিফিট জালিয়াতির ঘটনা।

ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস বিভাগ (ডিডাব্লুপি) বলেছে, ” বৈধ পরিচয়ের নথি এবং নকল ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে এই গ্যাংটি ৫৩.৯ মিলিয়ন পাউন্ড চুরি করেছে। মিথ্যা এই ক্লেইমগুলি অক্টোবর ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করা হয়েছিল।”

ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে যখন এই চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়, তখন কয়েকশ নকল নথি তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়। তাছাড়া তাদের সাথে কিছু নগদ অর্থ, একটি অডি গাড়ি, চশমা, ঘড়ি এবং জ্যাকেট সহ কিছু ডিজাইনার পণ্যও জব্দ করা হয়।

ওয়ার্ক এণ্ড পেনশনস সেক্রেটারি মেল স্ট্রাইড এই জালিয়াত চক্রকে আটক করার কারণে ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস  এবং ডিডাব্লুপির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই জালিয়াত চক্রকে দোষী সাব্যস্ত ও গ্রেফতার করায় করদাতাদের অর্থ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।”

উল্লেখ্য যে, ইউনিভার্সাল ক্রেডিট হ’ল যুক্তরাজ্য সরকারের জনকল্যাণ সুবিধা প্রদানের অন্যতম একটি প্রকল্পের নাম এবং এর মাধ্যমে বর্তমানে ৫.৮ মিলিয়ন মানুষ বেনেফিট নিচ্ছেন।