ABNEWS - online news portal

Header
collapse
...
Home / Latest News / ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের জ‍ন‍্যে পিটিশন

ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের জ‍ন‍্যে পিটিশন

2025-02-13  Ab News  52 views

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অসংবিধানিক সরকার রয়েছে তার অধীনে যেসব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে গত প্রায় সাত মাস তা গোটা বিশ্ব দেখেছে এবং দেখছে |    
 

IMG_1921

তিনি আরো বলেন,এই সময় বাংলাদেশের যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সংঘটিত হয়েছে তা পৃথিবীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আর এই একটা আমি তৈরি করেছি এসব প্রকাশিত খবর এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে ডক্টর ইউনুসের সরকারের অধীনে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার ঘটনা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনা প্রকাশ করেছে|  

 

সংবাদ সম্মেলনে অন‍্যদের মধ‍্যে যুক্তরাজ‍্য আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন, ইকনোমিস্ট ড. আরিফ খান, অন‍্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।  

 

সাইয়িদ আবেদীন বলেন,এই সমস্ত ঘটনাসমূহ একত্রিত করে আমি ডশিয়ার প্রস্তুত করেছি যাতে একটা পিটিশন দিয়ে বিশ্বের ৫০ টা লিডিং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের বিবেচনার জন্য পাঠিবো| আর এই কাজটা শুরু হবে নোবেল পিস কমিটিতে পাঠানোর মধ্য দিয়ে| যে ৫০ টা অর্গানিক অরগানাইজেশনে এটা পাঠাবো তার লিস্ট আপনাদের দিয়ে দেব তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা হল aministry international, human rights watch,  

United Nations Human Rights Council (UNHRC), Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR) ,  

International Federation for Human Rights (FIDH),Human Rights Foundation (HRF) অন‍্যতম।    
 

৭৬ টা স্বীকৃত গণমাধ্যম সংবাদ সংস্থা এবং সোর্স থেকে প্রকাশিত খবর এবং প্রতিবেদন নিয়ে এই ডশিয়ারটা তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা নাম বলছি সেগুলো হল বিবিসি, ভয়েজ অব আমেরিকা, ডয়চে ভেলে, এপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, রয়টারস, আল জাজিরা, পিটিআই, দি গার্ডিয়ান, দ‍্যা টেলিগ্রাফ, দ‍্যা ডেইলী স্টার, লা মন্ডে এবং আরো অনেক।  অন্তত ৩০০০ টা প্রকাশিত নিউজ এবং আর্টিকেল থেকে প্রায় ২০০ টা খবর এবং আর্টিকেল তুলে ধরেছি। এই নিউজ এবং আর্টিকেল গুলোর প্রিন্ট কপি অথবা পিডিএফ কপি ছবি দিয়ে এই ডশিয়ারে প্রেজেন্ট করা হয়েছে ।  

গত সাত মাসের অসংখ্য মানুষ হত্যার ঘটনা হাজারের উপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা যেটা দেখতে পেরেছি এখানে অনেক আওয়ামী লীগের সমর্থক আওয়ামী লীগের কর্মী সনাতন ধর্মালম্বী সাংবাদিক এবং পুলিশও আছেন আমরা রিপোর্টগুলো থেকে এটাও দেখতে পেয়েছি যে দুই হাজারের অধিক সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপর।  

জেল হাজতে পুলিশ হেফাজতে অবস্থায় অন্তত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলছিলেন সাইয়িদ আবেদীন।   

৪.৩ মিলিয়ন মানুষের ডিসিপি কার্ড বাতিল করা আছে যারা হত দরিদ্র এবং বঞ্চিত এবং এক একটা পরিবারের চারজন করে সদস্য ধরা হলে দুকোটি মানুষ জীবনের প্রয়োজনীয় খাবারের থেকে এখন বঞ্চিত হচ্ছে যেটা একটা নিরব দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে বাংলাদেশে এবং তাদের জীবনে ভয়াবহ দুর্বিষহ নেমে আসছে।  

 

অন্যদিকে ডঃ ইউনুস সাহেব ক্ষমতায় আসার পর ওনার ট্যাক্স মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে এবং আমরা লক্ষ্য করেছি রিপোর্টগুলোতে অতিথি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং করছেন।  আমরা এটাও দেখেছি বাংলাদেশে আনপ্রেসিডেন্ট জোর করে শিক্ষককে পদত্যাগ করে বিচারপতিকে করানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছেন তারা পদত্যাগ করানো এবং নিজেদের পছন্দ মতো লোক বসিয়ে দেওয়া এটা বাংলাদেশের কখন এর আগে ঘটেনি এবং এতে কিছু কিছু লোক মারাও গিয়েছেন এই মব ভায়োলেন্স। কিন্তু এইসব ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অথবা মানবতা বিরোধী অপরাধের কথা কে বলবে একমাত্র স্বাধীন সাংবাদিক সাংবাদিকতা অথবা প্রেসিডেন্ট যদি থেকে থাকে তাহলে এগুলো পরিপূর্ণভাবে আমরা জানার সুযোগ পেতাম কিন্তু আমরা জানি এখন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিক সাংবাদিকতার মৃত্যু ঘটেছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী।  

 

তিনি আরো বলেন, আমরা এসব রিপোর্ট থেকে দেখতে পাই যে অন্তত ১৫৭ জনের রেশনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ অন্তত ৩৫৪ জন জার্নালিস্ট কে নানাভাবে হ্যারাস করা হয়েছে । অন্তত ১১৩ জন ক্রিমিনাল চার্জ ফাইল করা হয়েছে। এবং অন্তত ৭৪ টা ভায়োলেন্স সংঘটিত হয়েছে সাংবাদিকদের উপর। এবং কোন নিউজ প্রকাশিত হবে এবং কোনটা হবে না কোন সাংবাদিক চাকরি করবেন অথবা করবেন না এ সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন ডঃ ইউনুস এর রেজিমেন্ট এর সহযোগীর ছাত্র সমন্বয়করা। তাই আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি সমস্ত রিপোর্ট ঘাটাঘাটি করে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কাকি রিপ্রেসেন্ট করছেন উনি কাদের সাথে কাজ করছেন উনি কার কাজ করছেন এবং এই সমস্ত রিপোর্ট আমাদেরকে জানিয়ে দেয় যে উনি ওনাকে যে ছাত্র সমন্বয়করা ক্ষমতায় বসেছে ওরা মূলত ছাত্রশিবির হিজবুত তাহরির আইসিস ইসলামিক দলের সদস্য যারা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। যারা মূলত বাংলাদেশের জামাতে ইসলামের রাজনীতিকে রিপ্রেজেন্ট করে এবং যারা স্বাধীনতার চেতনার বিপক্ষে এজন্যই তারা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের যে কমিশন সেই কমিশন রেফার করেছে সাজেস্ট করেছে যে স্বাধীনতার মূল চেতনা অর্থাৎ সমাজতন্ত্র তার ধর্মনিরপেক্ষতা জাতীয়তাবাদ এগুলো সংবিধান থেকে ওরা তুলে ফেলতে চান। এজন্যই তাদের শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর বাড়ি মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চেতনা কে তারা মুজিব বাদ বলছেন তো এই জন্য বঙ্গবন্ধুর বাড়িও তারা জানিয়ে দিয়েছেন আর এজন্যই ডঃ ইউনুস চোখের সামনে আর্মির সামনে পুলিশের সামনে যখন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে ওদেরকে বিচারের আওতায় আনছেন না অথবা ওনাদেরকে থামিয়ে দিচ্ছেন না বরং যারা অপরাধ করছেন ঘোষণা দিয়ে বিশেষ করে গাজীপুরে রিসেন্টলি যে আক্রমণ করেছেন এবং সাধারণ জনতা আক্রমণ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন আত্মরক্ষার জন্য সেই প্রতিবাদী জনতা কেউ উনারা এরেস্ট করছেন অত্যাচার করছেন অপারেশন ডেভিল হান্তের নামে এটাও অনেক রিপোর্ট এসেছে আর যারা এই অপরাধ করছেন তাদের রাস্ট্র সুরক্ষা দিচ্ছে। যেটাকে স্টেট স্পন্সর টেরোরিজম বলা যায় বলছিলেন সাইয়িদ আবেদীন ।  


Share: